সরকারি পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা, সরকারি পলিটেকনিক পড়ার খরচ, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি যোগ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
যেকোন শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরাই সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে এক্ষেত্রে এসএসসি/ভোকেশনাল (SSC) / দাখিল সমমান পরীক্ষা দিয়ে যে সব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা শুধুমাত্র সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তির জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
পলিটেকনিক ভর্তি আবেদন করার জন্য ভিজিট করুন http://www.btebadmission.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে। এখান থেকে সরাসরি Government Polytechnic Institute Admission পিডিএফ বিজ্ঞপ্তি ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন। নিচে আমরা সরকারি পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
সরকারি পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা
পলিটেকনিক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি এর আবেদন করার জন্য আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে দাখিল,ভোকেশনাল,উন্মুক্ত। ছাত্রদের ক্ষেত্রে পয়েন্ট থাকতে হবে জিপিএ-৩.০০ এবং ছাত্রীদের ক্ষেত্রে পয়েন্ট থাকতে হবে জিপিএ ২.৫০। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক এ কোর্সের মেয়াদ থাকবে ৪ বছর। আবেদন সম্পূর্ণভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদন ফি লাগবে ১৬২ টাকা।
আরো পড়ুনঃ রোল নাম্বার দিয়ে এসএসসি রেজাল্ট
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি যোগ্যতা
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মধ্যে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে হলে এসএসসি এবং এইচএসসি সমমান মিলিয়ে জিপিএ থাকা লাগবে ৭.০০। এবং আলাদাভাবে বিবেচনার ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষায় এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রত্যেকটিতে ৩.৫০ করে জিপিএ থাকা লাগবে।
এক্ষেত্রে যদি আবেদনকারীর এসএসসি পরীক্ষার জিপিএ ৪.০০ হয় এবং এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ ৩.০০ হয় তাহলে সে আবেদনকারী আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলে এসএসসি মূল নম্বর পত্রের ফটোকপি (মূল কপি সাথে রাখা ভালো), প্রশংসাপত্রের ফটোকপি এবং ৩ কপি ছবি সহ ১২৬৫ টাকা নগদ অ্যাপস এর মাধ্যমে জমা করে প্রমাণপত্র সহ ইনস্টিটিউটে উপস্থিত থাকতে হবে। উপরি উক্ত প্রমাণপত্রগুলো নিজ নিজ বিভাগীয় প্রধান অফিস কক্ষে জমা প্রদান করতে হবে।
সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে
এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তারাই সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেকোনো সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তির জন্য আবেদন ফি লাগবে ১৬০ টাকা। সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনার উপর যেসব শর্তাবলী প্রয়োগ করা হবে তা পূর্ণ করতে পারলেই শুধুমাত্র আপনি ভর্তির জন্য মনোনীত হবেন। সরকারি পলিটেকনিক থেকে আপনার কোর্স শেষ করার জন্য সময় লাগবে ৪ বছর। এই চার বছরে আপনার কোর্স শেষ করে বের হতে মোট খরচ হতে পারে ৫০০০০ থেকে ৬০০০০ টাকা। সরকারি পলিটেকনিকে যেসব খাতে খরচ করতে হয় তা হল:
- সেমিস্টার ভিত্তিক নতুন বই কেনা,
- সেমিস্টার প্রতি জব শিট তৈরি,
- অন্যান্য খরচ।
আরো পড়ুনঃ নটরডেম কলেজের মাসিক বেতন ও ভর্তির যোগ্যতা
সরকারি পলিটেকনিকে পড়ার খরচ
সরকারি পলিটেকনিক থেকে চার বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করে বের হতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে প্রতি সেমিস্টারে বই কিনতে খরচ হবে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মতো। জব শিট তৈরি করন এ সেমিস্টার প্রতি খরচ হবে ৫০০ টাকা (কম-বেশি হতে পারে)। এছাড়া পড়াশোনা ভিত্তিক অন্যান্য খরচ মিলিয়ে চার বছরে ৫০-৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। সেমিস্টার প্রতি খরচ হয় ২০০০ টাকার মত। এবং প্রত্যেকটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বেতন নাই বললেই চলে। সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মাসিক বেতন ১০ টাকা করে নেওয়া হয়।
FAQ’s
পলিটেকনিকের সবচেয়ে সহজ কোর্স কোনটি?
পলিটেকনিকের সবচেয়ে সহজ কোর্স মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
সরকারি চাকরির জন্য কোন পলিটেকনিক শাখা ভালো?
সরকারি চাকরির জন্য পলিটেকনিকের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা সবচেয়ে ভালো।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পলিটেকনিক কোনটি?
ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পলিটেকনিক।
পলিটেকনিকের সেরা গ্রুপ কোনটি?
পলিটেকনিকের সেরা গ্রুপ হচ্ছে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।